এক ডিম - আলোচনা
এক ডিম
এক ডিম
১৩ জানুয়ারি , ২০২১ আমরা অনেকেই ছোট বয়স থেকে মা বাবা , পরিবারের লোকজন , এমনকি কিছু ডাক্তারের কাছেও শুনে অভ্যস্ত যে , প্রতিদিন আমাদের প্রচুর প্রচুর জল পান করা উচিত , যত জল পান করবে তত স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কিন্তু বলব, এটা একটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা , এবং অতিরিক্ত জল পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর , অনেকেই এটা শুনে আমাকে পাগল ভাবতে পারে কিন্তু আমি শতভাগ নিশ্চিত সব বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারেরা আমার সাথে সহমত হবে।
আমার অন্যতম খারাপ স্বভাব হলো , একসাথে অনেকগুলি বই পড়া। যেমন ধরো, আমি সপ্তাহখানেক আগে, কার্ল মার্কসের জীবনী পরছিলাম কিন্তু কি মনে হল সাথে সাথে বরুণ সেনগুপ্তের নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যও পড়তে শুরু করলাম, আবার কালকে আবার এপিজে আব্দুল কালামের অগ্নিপক্ষ শুরু করলাম , সেটাতে আবার একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনার কথা পড়লাম , সেটা পড়লাম। এবার বুঝতেই পারছো, কেমন আজব স্বভাব আমার। কালকে দুপুরে এপিজে আব্দুল কালামের উইংস অফ ফায়ারের বাংলা অনুবাদ অগ্নিপক্ষ পরছিলাম, এর আবার প্রথম কিছুটা অংশ আমাদের ক্লাসের ইংরেজি পাঠ্যবইতে ছিল। যাইহোক প্রথম কিছু অংশ জানা থাকলেও পরের অংশগুলি ছিল প্রায় বেরিভাগই অজানা। পড়তে পড়তে অনার বাল্যকালের একটি ঘটনা দৃষ্টি আকর্ষণ করলো - তার বাল্যকালে সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল তিনজন তাদের মধ্যে একজন ছিল রামেস্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষী লক্ষণ শাস্ত্রীর পুত্র। তারা তাদের বিদ্যালয়ের ক্লাসের প্রথম বেঞ্চেই পাশাপাশি বসত প্রতিদিন। একদিন হলো কি, তাদের বিদ্যালয়ে একজন নতুন শিক্ষক এলেন , তিনি ক্লাসে ঢুকে একজন পুরোহিতের পুত্র এবং একজন মুসলমানের পুত্র বসে আছে দেখে, কালামকে একেবারে শেষের বেঞ্চে বসিয়ে দিলেন। এই দেখে, তার বন্ধু , অর্থাৎ পুরোহিতের ছেলে তো কেঁদেই ফেলল। পরে যখন ঘরে গিয়ে সব ঘটনা খুললে বলল , লক্ষণ শাস্ত্রী ওই শিক্ষককে তিরস্কার করে বললেন , তিনি শিশুদের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করছেন। সেদিন হয়তো ওই শিক্ষক, আন্দাজ করতেই পারেনি, শেষের বেঞ্চে বসানো ছেলেটি একদিন বিশ্ববিখ্যাত এত বড় একজন মানুষ হবে, জানলে হয়তো তাঁকে কোনোদিন পেছনে বসাতেন না। তবে সেই শিক্ষক সেদিন হয়তো, মূলত সামজিক অবস্থানটাকেই বিচারের মাপকাঠি করেছিলেন। ইংরেজরা দেশ ছেড়েছে অনেককাল আগেই/ জাত পাতের কবে ছাড়বে দেশ?
১২ জানুয়ারি , ২০২১ পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও ভয়ংকর ব্যাক্তি কে? অবশ্যই নানা মুনির নানান মত পাওয়া যাবে তবে আমার মনে হয় যে ভয় কে জয় করেছে এবং যার কোনো পিছুটান নেই সে হল সবচেয়ে শক্তিশালী ও ভয়ংকর ব্যক্তি। এরকম মানুষ বাস্তব জীবনে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন প্রায় অসম্ভব বলা চলে। তবে গল্পে বা রিলের জীবনে এমন অনেক মানুষেরই খোঁজ পাই আমরা তবে তার মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত চরিত্র হল ডিশি কমিকস -এর বব কেন ও বিল ফিঙ্গার সৃষ্ট ব্যাটম্যান। যেটি আমার সবচেয়ে পছন্দের সুপারহিরো চরিত্র।
ধরো আমার দুই বন্ধু, রাম ও রহিম। রাম বেশ খোলামেলা প্রকৃতির, সবার সঙ্গেই চট করে মিশতে পারে, ওর বন্ধুবান্ধবের সংখ্যাও অনেক; অন্যদিকে রহিম একটু অন্তর্মুখী প্রকৃতির, সবার সাথে চট করে মিশতে পারে না, আমাকে ছাড়া ওর তেমন আর কোনো বন্ধু নেই। রাম থাকে যৌথ পরিবারে, বেশ বড়সড় পরিবার, অনেক সদস্য; অন্যদিকে রহিম থাকে ওর মা ও বাবার সাথে একটা বাড়িতে, বুঝতেই পারছো ওদের বাড়িতে তিনজন মাত্র সদস্য। কদিন আগে শুনলাম ওদের মধ্যে একজন ডিপ্রেশন (অবসাদ) ও এংজাইটি (উদ্বেগে) ভুগছে!